
গাজীপুর মহানগরীর গাছা মেট্রো থানার ৩২নং ওয়ার্ডের ডেগেরচালা এলাকার মনতাজের বাড়িতে অজ্ঞাত বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জন ভাড়াটিয়া দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ বা আবদ্ধ ঘরে গ্যাস জমে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কারো কারো মতে মোবাইল বিস্ফোরনে এ ঘটনা হতে পারে। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- স্থানীয় গার্মেন্টস কর্মী হারিস মিয়া (৫০), তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৪০) ও ছেলে মইনুল ইসলাম (১২)।
স্থানীয়রা জানান, হারিস মিয়া ও তার স্ত্রী স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করেন এবং মনতাজের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সকালে তাদের রুমে বিস্ফোরণ হয়। এতে রুমটির দরজা ধসে পড়ে। ভেঙে যায় জানালার কাচ। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় ঘরে থাকা তিনজনই। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ঘরের বিভিন্ন সামগ্রী।
বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ঢাকায়। বর্তমানে তারা ঢামেকের জাতীয় বার্ণ ইউনিটে নিবীর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তী রয়েছেন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই রুমের পাশ দিয়ে তিতাস গ্যাসের লাইন রয়েছে। সেই লাইন থেকে গ্যাস লিক হয়ে রুমের ভেতর জমে ছিল। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, হারিসের শরীরের ৮৮, আয়েশার ৮০ ও মইনুলের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনজনকেই আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে ঘটনাস্থল, পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা পুলিশসহ পুলিশ ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি র্যাব ও সিআইডি এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট আসতেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলা যাবে আসলে কিভাবে কি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। পরিদর্শন শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post