
নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের উদ্যোগে আগামী ২৮শে জুন ডিমলায় একদিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে ডিস্ট্রেসড চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআই) এবং রাইটস অ্যান্ড সাইট ফর চিলড্রেন (আরএসসি)-এর যৌথ সহযোগিতায় এই সেবামূলক আয়োজন করা হয়েছে।
ডিমলা মেডিকেল মোড়ে অবস্থিত বিএমআই কলেজে সকাল ৯টা থেকে এই চক্ষু ক্যাম্প শুরু হবে। এখানে রোগীদের বিনামূল্যে চোখের অপারেশন, প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ এবং চশমা প্রদান করা হবে। সৈয়দপুরের মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা এই ক্যাম্পে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দেবেন।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব গোলাম রব্বানী প্রধান জানান, “আগামী ২৮শে জুন রোজ শনিবার আমাদের এই বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের প্রিয় জননেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও নীলফামারী-১ আসনের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী (তুহিন) ভাই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডিমলা বিএমআই কলেজ, মেডিকেল মোড়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরের শুভ উদ্বোধন করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা রোগীদের চোখ পরীক্ষা করবেন এবং যাদের চশমার প্রয়োজন, তাদের বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে। চোখের যেকোনো ধরনের জটিল অপারেশন বিনামূল্যে করা হবে, কোনো রকম টাকা-পয়সা খরচ লাগবে না। চোখের অপারেশনে যত টাকা খরচই হোক না কেন, সেই সম্পূর্ণ খরচ আমাদের প্রিয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন ভাই বহন করবেন।”
গোলাম রব্বানী প্রধান ডিমলাবাসীকে এই সেবার সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বিশেষ করে আমাদের আশেপাশে এলাকার ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের গরিব মানুষজন যেন বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরের এই বার্তা পায়। যারা অসহায় এবং অর্থাভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারছেন না, এই গরিব ও অসহায় মানুষের উদ্দেশ্যেই আমাদের প্রিয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী (তুহিন) ভাইয়ের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৮শে জুন সকাল ৯টার মধ্যে আপনাদের এলাকায় যে সকল গরিব মানুষের চোখের সমস্যা রয়েছে, সবাইকে যথাসময়ে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি।” এই উদ্যোগের মাধ্যমে শত শত দরিদ্র মানুষ আলোর পথে ফিরতে পারবেন বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
Discussion about this post