
উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়া স্বামী মতিয়ার হোসেন ( ৪৯) কে বিষ পান করিয়ে মৃত্যু বরণ করিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে বউ মরিময়ের বিরুদ্ধে । মতিয়ারের পিতার নাম জহু সিকদার বলে জানা গেছে।
মতিয়ারসহ তারা ৫ ভাই,তার তিনটি মেয়ে সন্তান, কোন ছেলে সন্তান নাই। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়েছেন। ব্যাংকে ১৫/১৬ লাখ টাকাও আছে।মেয়েদের অত্যাচারে গুয়াল ঘরে থাকত মতিয়া।মতিয়ার টাকা পয়সা জমির জন্য মতিয়ারের বউসহ সন্তানেরা মাঝে মাঝেই মারধর করতে এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গত ২২ দিন আগে মতিয়ার বউ মতিয়ার কে বলিতেছে তুই মরস কেন। তার কিছুক্ষণ পরে ছোট ভাই আলমগীর শুনতে পাই তার ভাই মতিয়ার বিষ পান করেছে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া পরে কিছুটা সুস্থ হলেও আজকে সে মৃত্যু বরণ করিয়েছে।
মতিয়ারের মা বলেন যেদিন আমার পোলাই অসুস্থ হয় সেই দিনও আমার ছেলেকে অর বউ মরিয়ম,তিন মেয়ে মুক্তি, মুক্তা ও মোরশেদা , মেয়ের জামাই,সুমন্ধি বানিজ দেওয়ান,শাশুড়ী বানিছা মিলে মারধর করেছে ধনসম্পত্তির জন্য। আমার ছেলে বলছিল আমার মৃত্যুর পরে ত এমনেই সম্পত্তির মালিক হবে।এখন কেন সম্পত্তি লিখে দিতে হবে। তার পরও তারদের সুখের জন্য জমি লিখে দিতে চাইছে। তাদের এতো দেরি সহ্য হয় না। আমার ছেলেকে ফেরত চাই, আমার সন্তানের জন্য কলিজা পোড়ে যায়।আমার সন্তানের বিচার চাই।
মতিয়ারের ভাইয়েরা বলেন প্রতি দিন ভাইয়ের সম্পত্তির জন্য মারামারি করে।এখন বিষ খাওয়াইয়া আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করেছে।আমার ভাইয়ের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।নবির হোসেন বলেন, আজকে আমার ভাইয়ের লাশ আনছি, আমার আমার ভাবি,ভাতিজিরা পানির মটর বন্ধ করে রেখেছে। আমার ভাবি ও ভাতিজার শ্বশুর বাড়ির মানুষের অত্যাচার আমার ভাইকে হারালাম।দেশবাসীর কাছে বিচার চাইলাম আমার ভাইয়ের জন্য সঠিক বিচার হয়।এলাকাবাসী বলেন, মতিয়ার বউসহ সন্তানেরা প্রতি দিন মারধর করতো এমনটাই দেখেছি এবং শুনেছে ।ঠিক মতো খাবার খেতে দিতো না। না খেয়ে পাড়ায় পাড়ায় গুরতো। ধনসম্পত্তির জন্য তার এমন মৃত্যু হয়েছে।
মতিয়ারের বউ মরিয়মসহ মেয়েদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন কথা না বলে ঘরে চলে যায়। তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে মির্জাপুর থানার এস আই জহিরুল ইসলামের সাথে মুঠ ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Discussion about this post