প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৬, ২০২৫, ৯:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৫, ২০২৫, ১:৩৬ পি.এম
গাজীপুরে জুলাই শহিদ ও যোদ্ধা সম্মেলনে উত্তেজনা, প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ

গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরে ‘জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধা সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হলেও, শেষ মুহূর্তে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে দেখা দেয় চরম অসন্তোষ ও হট্টগোল।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১১টায় জেলা সদরস্থ বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিছা আরেফীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক, জেলার পাঁচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জুলাই শহিদ ও আহত যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বক্তৃতা পর্বে আহত যোদ্ধারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত। অনেক পরিবার এখনো অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নাফিছা আরেফীন বলেন, “জুলাই স্মৃতিকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে।”এ বিষয়ে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে
অনুষ্ঠানের শেষভাগে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট সময়ের স্মৃতি নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনী পরিদর্শন না করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলে উপস্থিত যোদ্ধারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তাদের দাবি, এই প্রদর্শনী দেখা কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব। প্রতিবাদ জানিয়ে তারা “ভুয়া! ভুয়া!” স্লোগানে হলরুম প্রকম্পিত করে তোলেন।
জুলাই যোদ্ধা রেদওয়ান রহমান আদনান, ফাহাদ ও বশির আহম্মেদ অপু এই অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসন আয়োজন করলেও, প্রদর্শনী চলাকালীন তারা স্থান ত্যাগ করেন।এটা মোটেই কাম্য নয় পরবর্তীতে প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনেই প্রদর্শনী করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
দেশের অন্যান্য জেলায় যোদ্ধা পরিবারদের হাতে উপহার তুলে দিলেও, গাজীপুরে তা বাসায় পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্তে দ্বিমত জানিয়েছেন অনেকে। সরাসরি সম্মান প্রদর্শনের বদলে এমন সিদ্ধান্তকে অবমূল্যায়ন হিসেবে দেখছেন তারা।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাহাঙ্গীর আলম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Developed by: Russell IT Soft