
গাজীপুর গাছা মেট্রো থানাধীন পূর্ব কমলেশ্বর এলাকার রাতের আঁধারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধা জেলার পলাশ বাড়ি থানার পূর্ব গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত রাজা ফরাজী ছেলে কথিত ঠিকাদার মোঃ সাদ্দাম ফরাজী বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় কথিত ঠিকাদার সাদ্দাম ফারাজী নিজেকে কোরআনে হাফেজ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে চলে, আসলে সে ১০ পাড়া কোরআন পড়েছে বলে জানান তার পরিচিত জন।
কোরআনে হাফেজ বললে সাধারণ মানুষকে অতি সহজেই বোকা বানিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনকি নিজকে রক্ষা করতে কখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় এখন রুপ পরিবর্তন করে বিএনপি ছত্রছায়ায় এ কাজ করে বলে জানান এলাকাবাসী।
কথিত ঠিকাদার সাদ্দাম ফরাজী অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে টাকা উত্তোলন করে বড়বাড়ি, দক্ষিণ কমলেশ্বর, বোর্ড বাজার, মৃধা বাড়ি, মালেকের বাড়ি, পূর্ব কমলেশ্বর,গাছা রোর্ড, খাইলকৈর, মালেকের বাড়ি,ভুষির মেইল
চৌরাস্তা ভাওয়াল কলেজের পাশে থেকে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন সাদ্দাম ফারাজী গাইবান্ধা থেকে এসে প্রথমে একটি মাদ্রাসায় চাকরি করতেন সেখান থেকে কিছু দিন পরে হঠাৎ করে হয়ে যান তিতাস গ্যাস অফিসের ঠিকাদার। এখন সে অবৈধ সংযোগ এবং মাসিক টাকা উত্তোলন করে ফরাজী ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরির কারখানা করেছে সেটা আবার কিছু দিন পর পর স্থান পরিবর্তন করে,কারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে সেই লোক জানতে পেরে কারখানায় আসে আবার কাউকে গ্যাস সংযোগের কথা বলে টাকা নিছে তাঁরা কারখানায় আসলেই পরিবর্তন করে ফেলে কারখানা। অনেকেই আবার বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ গাজীপুর সি,আর,মোকাদ্দমা নং ৫৫২/২০২৩, সি,আর, মোকাদ্দমা নং ৫৫৩/২০২৩, সি,আর, মোকাদ্দমা নং ৫৫১/২০২৩ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।
এই কথিত ঠিকাদার নিউজ ঠেকাতে এই প্রতিবেদককে বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্ত মূলক পোস্ট করে নিউজ বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।সাদ্দাম ফারাজী ভাতিজা মারুফ ফরাজী প্রতিবেদক কোথায় থাকে এবং তার বাড়ি কিনে এলাকা ছাড়া করেবে বলেন জানায়।
দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষের বিনিময়ে এসব ঠিকাদারদের পক্ষে কাজ করে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না, বরং সহযোগিতা করা হয় বলে জানান সচেতন মহল।
এবিষয়ে জানতে কথিত ঠিকাদার মোঃ সাদ্দাম ফরাজীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে এবিষয়ে জানতে গাজীপুর তিতাস গ্যাস অফিসের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো: সাখাওয়াত হোসেন এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা আপনি আমার ডিজিএম
সুরুয আলম এর সাথে কথা বলেন।
তবে এবিষয়ে জানতে উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌ. মো: সুরুয আলম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Discussion about this post