
গাজীপুরের গাছা মেট্রো থানাধীন বড়বাড়ি এলাকায় আগোড়া, মিনা বাজার, স্বপ্ন ওদের সদস্য হওয়ার সিস্টেমকে কপি করে এমজি বাজার এই ফর্মুলা কে কাজে লাগিয়ে এমএলএম ব্যবসা করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদেরকে ধোকা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
বড় বড় ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক পণ্য শোরুমে উঠিয়ে ডিলার এবং সাব ডিলার এর কথা বলে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ১০ লক্ষ টাকায় ওদের সাব ডিলার পাওয়া যায় আপনি যদি ইলেকট্রিক পণ্য নিয়ে যান তাহলে ১১লক্ষ টাকার পণ্য দিবে অথবা ৩ মাসের জন্য টাকা রাখলে ১৪ হাজার টাকা লভ্যাংশ হিসেবে দিবে যদি ২০ লক্ষ্য টাকা রাখা হয় ৩ মাসের জন্য তাহলে ২৮ হাজার টাকা দিবে, আপনি কত বেশি লভ্যাংশ পেতে চান সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনি যদি ২০ লক্ষ্য টাকা ১২ বছরের জন্য রাখেন তাহলে ১২ বছরে আপনি লভ্যাংশ পাবেন ৭২ লক্ষ টাকা সাথে যোগ হবে আপনার আসল ২০ লক্ষ টাকা তাহলে প্রায় ১ কোটি টাকা হয়ে গেল এরকম অফার নিয়েই প্রতারণা করে যাচ্ছেন এমজি বাজার এর মালিক মুকুল গাজীর এখানকার প্রতিনিধি ও সাঙ্গপাঙ্গরা এর প্রতিকার এখনই হওয়া দরকার না হলে খেটে খাওয়া অসহায় মানুষরা অনেক বড় বিপদে পড়ে যাবে। তার দায় বার কে নিবে এই প্রশ্ন রাখেন সচেতন মহল।
এদিকে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এমজি বাজার এর একজন লিডার বলেন ১৯৯৭ সাল থেকে এই কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে এবং কোম্পানির মালিকের ২৮ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই কোম্পানি পরিচালনা করছে বলে মোটিভেশন করেন সাধারণ মানুষদেরকে।
তবে এই মুকুল গাজি লাইফওয়ে সহ একাধিক এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে।ফের বড়বাড়ি এমজি বাজার নাম দিয়ে প্রতারণা করার নতুন আরেক ফাঁদ তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সেই সাথে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উপরস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এই কোম্পানিতে বিভিন্নভাবে তারা বিনিয়োগ করেছেন মাসের শেষে লভ্যাংশ নিয়ে যান বলে জানান এই লিডার। মজার বিষয় হল (এম জি বাজার এর ফুল মিনিং হলো মাই গুডস, মুকুল গাজী) বলে আখ্যা দেন তারা মহেশপুর তাদের বিশাল টাওয়ার আছে এবং বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য প্রজেক্ট থেকে শুরু করে তাদের ডেভেলপিং প্রজেক্ট আছে বলে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই মুকুল গাজীর দলবল বলে অভিযোগ করেন সচেতন মহল।
এখানে বিনিয়োগ করে তো তারা লাভবান হয়েছে আমরা কি পাবো বলতেই লিডার বলেন প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 20 হাজার টাকা পর্যন্ত টার্ইগেট ইনকাম করতে পারবেন।
এই ব্যবসা করতে তাদের ট্রেড লাইসেন্স,জয়েন স্টোক লাইসেন্স, ভ্যাট টিন লাইসেন্স আছে বলে জানান তবে এই ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে পেলেন জানতে চাইলেই ওরা বলেন ট্রেড লাইসেন্স শাখার লুৎফর কিবরিয়া ভাইয়ের মাধ্যমে এই ট্রেড লাইসেন্স পেয়েছেন বলে জানান। তবে এই এমএলএম ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স কি করে পেলো,ওরা বললো ভাই এটা বাংলাদেশ টাকা দিলে বাঘের চোখও মিলে তো হয়ে গেছে ট্রেড লাইসেন্স অন্য সকল লাইসেন্স কিভাবে পেলেন ভাই একই নিয়ম বলে জানান।
এবিষয়ে জানতে এমজি বাজার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) মুকুল গাজীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি এই টাকা দিতে পারি সট টাইমের জন্য টাকা রাখলে আমি ইলেকট্রনিক এর মধ্যে ইনভেস্ট করি আর লং টাইমের(১২ বছর) জন্য রাখলে আমি ফ্ল্যাট ও প্লটে বিনিয়োগ করি।ডিলিং লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা সম্পর্কে আমি জানিনা আমি আজকেই শুনলাম। এমএলএম ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মুচকি হেসে বলেন এটা অন্য একটা জগত আপনি চা খাবেন? বলে কথা এড়িয়ে যান।
এদিকে এবিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল -৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা শাহারিন মাধুবীর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
(তৃতীয় পর্বে চোখ রাখুন)
Discussion about this post