
মামলা বাণিজ্য, মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও মাদক দিয়ে ফাঁসানো, মোটা অংকের চাঁদাবাজি-সহ নানা অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করে এর প্রতিকার চেয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে গাজীপুরে। বৃহস্পতিবার (১০জুলাই) দুপুর ২টায় মহানগরীর গাছা মেট্রো থানার সামনে এক নারী ও তার সন্তানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলে প্রতিকার চেয়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় এবং ভূক্তভূগী বাসিন্দারা।
এর আগে থানা এলাকার মুক্তারবাড়ি সড়ক (রোড) থেকে শতাধিক স্থানীয়রা একটি মিছিল নিয়ে অভিযুক্ত ওই নারী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়ে থানার সামনে সমবেত হন। সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়ে শতাধিক স্থানীয় ভূক্তভূগী বাসিন্দারা কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানান। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভূক্তভূগী বক্তব্যে তাদের অভিযোগ উপস্থিত সকলের সম্মূখে প্রকাশ্যে তোলে ধরেন।
ভূক্তভূগীদের অভিযোগ ৫ আগস্টের পর নানা সময়ে অভিযুক্ত নারী বিএনপি নেত্রী দাবিদার (আ’লীগের রাজনিতীতে জড়িত) কহিনূর ও তার ছেলে আইনুল হাজীর নাতি পলাগাছ এলাকার আশিক খান স্থানীয় ও ভারাটে সাধারণ বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, রিক্সা চালক ও শ্রমীকদের ভয়ভিতি এবং পুলিশি হয়রানির ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদাদাবি ও তা আদায় করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক কারবারেরও অভিযোগ তোলা হয়। এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন ভূক্তভূগীরা। স্থানীয় আলেম সমাজেরও কারো কারো নানা অভিযোগ ওই নারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে থানা পুলিশের সাথেও লিয়াজু রাখার।
এতে বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা ইমারত শ্রমিক নেতা তাইজুদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা, মাহতাব উদ্দিন, রিক্সা চালক আলমগীর, বাসিন্দা মুন্না খান, গার্মেন্টস শ্রমিক কমলা বেগম, শ্রমিক হাবিবসহ অন্যান্যরা। এসময় শতাধিক বাসিন্দারা এ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুস্থ বিচার প্রত্যাশা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারী কহিনুর বিএনপির মহিলা নেত্রী দাবি করে মুঠোফোনে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় বিএনপি’র এক নেতা আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা প্রচার চালিয়েছেন। তবে তিনি বিএনপির কোন অঞ্চলে কি পদপদবীর দয়িত্বে আছেন সে বিষয়ে জানাতে না পেরে ইতোস্ত বোধ করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তোলেন।
এক পর্যায়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম থানার সামনে উপস্থিত হয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এর পর প্রায় ৩০মিনিট পর আশ্বাস পেয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন অবস্থানরত ভূক্তভূগী বাসিন্দারা
Discussion about this post